- নারায়নহাটে কবরস্থান ভূমি দস্যুর দখলে।
প্রায় দুইশ বছরের পুরোনো একটি কবরস্থান দখল করার অভিযোগ উঠেছে নারায়নহাটে। ফটিকছড়ি উপজেলার ৩নং নারায়নহাট ইউনিয়নের পুলের পশ্চিম গোরস্তানের কিছু জমি দখল করে দোকান তৈরি করার চেস্টা করতেছে দাঁতমারা ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ভূমি দস্যু শাহ আলম কোম্পানি।
বন্দোবস্ত করার কথা বলে শাহ আলম কোম্পানি এই কবরস্থানে দোকান তৈরি করতে মরিয়া। অথচ ফটিকছড়ি উপজেলা ভূমি অফিস ও নারায়নহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস বলছে, ১৯৭২ সালের সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী এখন জমিটি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। ভূমি অফিসের নথিতে এটি এখনও কবরস্থান হিসেবেই রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কবরস্থান কোনদিনই বন্দোবস্ত হয়নি এবং আগামীতেও হবে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থানের কিছু জমি তারা মাটি ভরাট করে দখল করে, সেখানে ইট দিয়ে দোকান তৈরি করতেছে। সাধারণ জনগণ বাধা দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে সাধারণ জনগণ সবাই মিলে ৩নং নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদে যায়। সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আবু জাফর মাহমুদ সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন, এবং দোকান তৈরি করার কাজ বন্ধ করে দেন। পরে বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবেন বলে জানেন।
৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জুজখোলার গ্রামবাসী বলছে, কবরস্থানে দোকান করে জোরপূর্বক দখল করতে চাচ্ছে তারা। প্রভাবশালী পরিবার হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না।
এই ব্যাপারে জনাব ইদ্রিচ আলম বলেন, দেশে ১৯৭২ সালের পর আর কোন রেকর্ড হয়নি। সেই রেকর্ড অনুযায়ী জমিটি এখনও কবরস্থান। অথচ সরকারের থেকে বন্দোবস্ত করার ভুয়া কাগজপত্র করে গ্রামবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে কবরস্থানেই দোকান করতে চাচ্ছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তারাই গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করার ভয়ভীতি দেখায়।
এই কবরস্থানের, আরএস ৫৫৬৪ দাগের ১১একর ৫০ শতক জমি কবরস্থান হিসাবে ভূমি অফিসে রেকর্ড আছে। এবং বিএস ৬৫৯৮ ও ৬৫৮৯ দাগের ৩ একর ৪৯ শতক জমি কবরস্থান হিসাবে ভূমি অফিসে রেকর্ড রয়েছে।
দক্ষিণ জুজখোলা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, আমাদের বাপ-দাদার কবর রয়েছে এখানে। আমরা ছোট তখন এখানে অনেক কবর দিতে দেখেছি। এখনো অনেক মানুষকে কবর দেয় এখানে,এই ভূমি দস্যু শাহ আলম এই কবরস্থানের জায়গা দখল করতে চাই। এই ভূমি দস্যু শাহ আলম যেকোনো জায়গা দখল করা যার নেশা। তাই সে ভূয়া কাগজপত্র নিয়ে রাতারাতি এই কবরস্থান দখল করতে চাই। মৃত্যুর ভয় তার কাছে নেই।
আমরা এই কবরস্থান দখল করতে দেব না।
© ইদ্রিচ ভাইয়ের সমর্থক গোষ্ঠী