নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত, ৬৭ হাজার ভোটে জয়ী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
রবিবার সারাদিন ভোটগ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জানানো হয়।
মোট ১৯২টি কেন্দ্রেরের ফলাফল দেখা যায়, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৬৬ ভোট।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে এবিএম সিরাজুল মামুন (খেলাফত মজলিস) পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২৪ ভোট, মাছুম বিল্লাহ (ইসলামী আন্দোলন) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট, কামরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ ভোট, জসীম উদ্দিন (খেলাফত আন্দোলন) পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৯ ভোট, রাশেদ ফেরদৌস (কল্যাণ পার্টি) পেয়েছেন ১ হাজার ৯২৭ ভোট।
ঢাকার পাশের এই নগরীর ভোটাররা নতুন মেয়র ও কাউন্সিলর নির্ধারণে ভোট দেন। এবার ভোটার ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার। আর সম্পূর্ণ ভোটই গ্রহণ হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।
এবার ভোটের হার ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে। এই সংখ্যা গত দুই বারের চেয়ে কম।
শিল্পনগরীতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এ নির্বাচনে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আর অভিযোগে উত্তাপ ছড়ালেও ভোটগ্রহণ শেষ হয় শান্তিপূর্ণভাবেই।
এবার প্রথম যন্ত্রে চাপ দিয়েই খুব সহজে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন অনেকেই। আবার আঙুলের ছাপ না মেলায় বয়স্ক অনেকের ভোগান্তি হল। উৎসবের আমেজে ভোটের মাঠে দিনভর আলোচনায় থাকে ভোটগ্রহণের শ্লথ গতি।
টানা দুই বার মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী আইভী এবারও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তিনি সকালে ভোট দিয়ে বলেন, “নৌকার জয় হবেই হবে। গণজোয়ারের জয় হবেই হবে।”
তবে ফল যাই হোক, তা মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র আলী আহমদ চুনকার মেয়ে আইভী।
অন্যদিকে ভোট দিয়ে কেন্দ্রের বাইরে এসে তৈমুর বলেন, “ভোটের ব্যবধান হবে লক্ষাধিক, আল্লাহর রহমতে আমি লক্ষাধিক ভোটে জিতব।